মোঃ আকতার হোছাইন কুতুবী :
আজ ঠিক ১২টা বাজার এক সেকেন্ড পর আরেকটি নতুন বছরে পদার্পণ করবেন বিখ্যাত কবি ও লেখক ও উপসচিব কবি শফিকুল ইসলাম। আজ বাতাসে সুবাসিত সিগ্ধতা, পাখিরা সারি সারি গাইছে গান, প্রকৃতি হেলে দুলে হয়েছে রঙিন, ফুলেরা সব ফুটেছে বাগানে, আজ আমার প্রিয়, বাংলাদেশ সরকারের উপসচিব, বর্তমান প্রজন্মের বাংলাদেশের প্রধান কবি হিসেবে খ্যাত, বিশিষ্ট গীতিকার ও লেখক শফিকুল ইসলামের শুভ জন্মদিন। বিশেষ দিনে-এ হয়ে উঠুক আরো নবীন, হৃদয়ের গভীর থেকে ভালবেসে জানাই শুভ জন্মদিন। আপনি আমাদের মাঝে লক্ষ গোলাপ জুঁই, হাজার লোকের ভীড়ে থাকবেন এই মন মন্দিরে। সুন্দর এই ভূবনে সুন্দরতম জীবন হোক আপনার পূরণ, হোক প্রতিটি স্বপ্ন,প্রতিটি আশা আপনার পূরণ। বেঁচে থাকুন অনন্ত কাল। জানিনা সরকারের উপসচিব সাবেক ঢাকা মেট্রোপলিটান ম্যাজিট্টেট শফিকুল ইসলাম এর জন্মদিন উপলক্ষ্যে দুই চারটি লাইন কিভাবে শুরু করব। তাই উপরোক্ত কথাগুলো দিয়েই লেখার প্রারম্ভিকটা এভাবে উপস্থাপন করলাম সম্মানিত পাঠকদের মন জুড়ানো কাব্যিকতার ছো্য়াঁয় কিছু শব্দকে একত্রিত করে ফুটিয়ে তোলার জন্য। ফুল যেমন ফোটে, তেমনি আবার ঝরা পাতা হয়ে ঝরে যায়। কিন্তু বাংলা সাহিত্যের অন্যতম লেখক কবি শফিকুল ইসলামের অনুসারীদের জন্য লেখাটি আমৃত্যু বয়ে বেড়াক ইতিহাসের স্মৃতির পাতায়। তেমনি একজন সাদা মনের ভাল মানুষের জন্য লিখতে ভাল লাগে। আজ কেমন জানি সাদা কাগজের বুকে কালিমা লেপন করতে কোন বাধা বিপত্তি হৃদয়ের ভেতর থেকে আসছে না। কারণ একজন ভাল মাপের হৃদয় নিংড়ানো অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী মাটির মানুষ যিনি কবিতা, গান, শিল্পচর্চা আবার অন্যদিকে বিচারকের আসনে আসীন, সবকিছু কেমন জানি সৃষ্টি কর্তার মহান দান। তারই ফলশ্রুতিতে আজ কাব্যিক প্রেমী পাঠকের কাছে কবি শফিকুল ইসলাম উদাহরণ হয়ে আমাদের মাঝে বিরাজমান অবস্থায় অনবরত লিখে যাচ্ছেন বিভিন্ন বিষয়াদির উপর। কর্মজীবনেও তিনি সৎ, নিষ্ঠাবান। সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন অনেকখানি। তার কর্মজীবনে কুষ্টিয়া জেলার ডিসি, ঢাকার মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট, সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের জি.এম, ত্রান ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিবসহ বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত থেকে কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন সাদা গোলাপের মত এই মানুষটি।
আমি লেখক হিসেবে নিজেও একজন কাব্যিকতায় হযবরল হিসেবে লিখি। নামও দিয়েছি তাই। তবে শফিকুল ইসলাম ভিন্ন মাত্রার অন্যতম প্রেম ও বিরহের কবি। তার প্রকাশিত কাব্য গ্রন্থ এই ঘর এই লোকালয়, একটি আকাশ ও অনেক বৃষ্টি, তবুও বৃষ্টি আসুন, শ্রাবণ দিনের কাব্য, দহন কালের কাব্য, প্রত্যয়ী যাত্রা, গীতি সংকলন করেন মেঘ ভাঙ্গা রোদ্দর, এছাড়াও রয়েছে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শফিকুল ইসলামের আড়াই হাজারের অধিক গান নিয়ে শ্রেষ্ঠ গীতি কবিতা নামের পাঁচ খন্ড বিশিষ্ট গ্রন্থ।
তার সকল সৃজনী প্রতিভা যেভাবে ক্রমবিকাশ লাভ করে বিকশিত হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে, তিনি হবেন এই লাল সবুজের পতাকাবাহী বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কবি ও লেখক। সেদিন আর বেশী দূরে নয়। পরিশেষে শুভ জন্মদিন! কথাটা শুনে একটা মৃদু ভালো লাগায় মন ভরে যায় না এমন মানুষের সংখ্যা নগন্য। মানুষ যেদিন জন্মগ্রহণ করে সেদিনটাকে একান্তই তার নিজের করে ভাবে, এই তারিখটার সাথে আলাদা একটা টান সে অনুভব করে। এই দিনই সে এই সুন্দর পৃথিবীতে এসেছিল। সেদিন সবাই তাকে অভিবাদন জানাবে ফুলে ফুলে সিক্ত করবে। আরো অনেক মানুষের মনের মধ্যে আমার একটা স্থান আছে-এই বোধ মানুষকে যত সুখী করে অন্যকিছুই তাকে এতটা পরিতৃপ্ত করে না। জন্মদিনের আবেদন টা তাই স্বাভাবিকভাবে অনেক পরিব্যাপ্ত। আমাদের অন্যান্য সামাজিক আচরণগুলোর মতই জন্মদিনের উৎযাপনের রীতিটা নিয়ে কি আমরা ভেবে দেখেছি? একজন আরেকজনকে হাসিখুশীতে উচ্ছ্বাসিত করা

মোঃ আকতার হোছাইন কুতুবী

হৃদয়ের ব্যাপার। সে ব্যাপারটি মনের গভীর থেকে আসতে হয়। বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২৫শে বৈশাখ কবিতায় লিখেছেন রাত্রী হলো ভোর, আজি মোর জন্মের স্মরণপূর্ণ বানী, প্রভাতী রৌদ্রে-লেখা লিপিখানি হাতে করে আমি দ্বারে আসি দিল ডাক ২৫ শে বৈশাখ। বাঁশি যখন থাকবে ঘরে, নিবভে দ্বীপের শিখা, এই জনমের লীলার পরে পড়বে যবনিকা। সে যেন কবির তরে ভীড় না জমে সবার ঘরে। হয় না যেন উচ্চ স্বরে সুখের সমাহার। তবে আমাদের প্রত্যাশা দহন কালের কাব্যের মত অনেক লেখনীর অনেক সাড়া জাগানো কাব্যের লেখক কবি শফিকুল ইসলামের জন্মোৎসব হোক ফুলে ফুলে সুবাসিত আনন্দে মাতোয়ারা ও আগামী দিনে নিত্য নতুন তার লেখনীর মধ্যে দিয়ে মেহনতি মানুষদেরকে জাগ্রত করা।

লেখক পরিচিতি: মোঃ আকতার হোছাইন কুতুবী, প্রধান সম্পাদক-জাতীয় ম্যাগাজিন জনতার কন্ঠ, উপদেষ্টা সম্পাদক জাতীয় ম্যাগাজিন জাতির আলো, সহ-সম্পাদক- জাতীয় দৈনিক আমার কাগজ ও দি গুড মর্নিং, ঢাকা।